Select Page

নারীঃ নারীদের সুখ দুঃখের লক্ষণ বর্ণনা

কি কি লক্ষণ পুরুষের দেহে থাকলে সে সুখী হয় আর কি কি লক্ষণ পুরুষের দেহে থাকলে সে দুঃখ পায়, এর আগে মহাদেব সে বিষয়ে বর্ননা করলেন।

এবারে নারীজাতির দেহে কি কি চিহ্ন থাকলে তারা সুখী হয় আর কি চিহ্নের ফলে তারা দুঃখ পায়, মহাদেব একে একে তার বর্ণনা করতে লাগলেন।

যে নারীর যােনি কূর্মপৃষ্ঠের মত ( কচ্ছপের পিঠের মত) অথবা গজ স্কন্ধের (হাতীর কাধের) মত, সে যাবজ্জীবন পরম সুখে দিন কাটায়।।

কচ্ছপের পিঠের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে তার অর্থ—যদি ভগদেশ উচ্চ ও পুষ্ট হয় তাহলে তা দৃঢ়সংবদ্ধ ও উচু অর্থাৎ কচ্ছপের পিঠের মত দেখাবে নিশ্চয়ই। হাতীর কাধ আর কচ্ছপের পিঠ অনেকটা একই রকম দেখতে হয়।

এই ধরনের নারীরা পতিপরায়ণা হয় এবং দাম্পত্যজীবনে তারা সুখী হয়, ইহাই শাস্ত্রবচন।।

মুত্রজঃ কুৰ্ম্ম পৃষ্ঠাভ করিস্কন্ধসমস্তথা।

স সুখ ভাগিনী যস্যাঃ রতিশাস্ত্রে প্রকীর্তিতম্ ।।

নারীর কক্ষ প্রদেশ (অর্থাৎ তলপেট থেকে উরুর উপরিভাগ পর্যন্ত সম্পুর্ন অংশ) যদি অশ্বপাত মত আকৃতিবিশিষ্ট ( অনেকটা পানের পাতার মত ) ) হয় এবং তাতে উর্ধ লােম (খাঁচা খোঁচা লােম ) পুর্ন হয়ে থাকে তবে সে নারী নিশ্চয়ই পরম সুখের অধিকারিনী হয়, এতে সন্দেহ নাই।সুধী, অর্থাৎ মনীষী ব্যক্তিগণ সকলে রতিশাস্ত্র-সম্মত এই বিধান সমর্থন করে থাকেন। 

 কক্ষোংশঙ্খদলকার উদ্ধ লােমসমস্বিতা।।

সুধীভিঃ কথিত যস্যাঃ শুভা সা সুখভাগিনী৷৷

যে নারীর জঙক্ষা দুটি সুন্দরভাবে গােলাকার, মসৃণ, সােজা আর লেমশূন্য হয়, আর সেই সঙ্গে দুটি জানু সমান হয় অর্থাৎ ছোট বড় বা পৃথক না হয়, সেই নারীর পরম সুখে দিন কাটতে থাকে।

সুবৃত্তে সরলে চৈব জঘে লোমবিবজিতে।। |

সমঞ্চ জানুযুগলং সা ভবে-সুভাগিনী।

এবারে পায়ের তলের কয়েকটি চিহ্ন সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। যে নারীর পায়ের তল পদ্মের মত অর্থাৎ কোমল, মসৃণ, গােলগাল এবং সুদর্শন, সে সুখের অধিকারিনী হয়। পায়ের সঙ্গে পদ্মের তুলনা রতিশাস্ত্রেই করা হয়েছে- অবশ্য হাতের সঙ্গে পদ্মের তুলনা অন্যান্য শাস্ত্রে করা হয়েছে।

পায়ের তল ভাগে যদি বস্ত্রচিহ্ন হলচিহ্ন বা পদ্মচিহ্ন থাকে তবে তা খুবই শুভ। এরূপ চিহ্নবিশিষ্ট নারীকে উচ্চস্তরের নারী বলে জানতে হবে। নীচকুলে তাদের জন্ম হলেও তারা পরম সুখে দিন কাটাবে—এ বিষয়ে সন্দেহমাত্র নেই। সে নারী রাজপত্নী হবার উপমুক্ত।

বজ্ৰাজ-হল চিহ্নঞ্চ মস্যাঃ পাদতলে স্থিত।

রাজপত্নী তু সা জ্ঞেয়া রাজভােগ-প্রদায়কম্ ।।

যে নারীর দাতগুলি চক্চকে সুন্দর সাজান, দাতের মধ্যে মধ্যে ফাক না থাকে অর্থাৎ দতগুলি ঠিক কুন্দফুলের মত দেখায়, যার কণ্ঠের স্বর সুমিষ্ট (অর্থাত ঘ্যান ঘ্যানে নাকি সুর কিংবা কর্কশ স্বর যার কণ্ঠে বের হয় না )-কণ্ঠের স্বর ঠিক বাশীর ধনির মত মিষ্ট ও মনােহর, সে নারী সুথভাগিনী হয়ে থাকে।

রতিশাস্ত্রে আরও লক্ষণ বর্ণনা করেছেন মহাদেব। নারী বদনমন্ডোল বেশি লম্বাটে, চোয়াড়ে বা গালভাঙা এগুলি ভাল চিহ্ন নয়, আবার ঠিক চাদের মত গোলাকারও ভাল নয় (যদিও কবিরা চন্দ্রমুখী বলে নারীর উপমা দেন, কিন্তু রতিশাস্ত্রমতে তা সুলক্ষণ নয়)। যে নারীর বদনমগুল ঠিক বর্তুলাকার, এটি খুব ভাল লক্ষণ।।

বর্তুলাকার মােটামুটি গােল তবে একটু চাপা। অধর ওষ্ট নারীর বিম্বের মত টকটকে লাল হওয়া খুব ভাল রতিশাস্ত্র মতে ।।

নারীর দুটি নাকের ছিদ্র সমান হওয়া ভাল লক্ষণ—ছােট বড় হওয়া ভাল লক্ষণ নয়।

উপরে বর্ণিত সমস্ত লক্ষণ যে নারীর দেহে থাকে, সে পরম সুখে দিন কাটায়। শাস্ত্রোক্ত ভাষায় :

কুন্দপুষ্পসমা দন্তাঃ স্বরেণ বংশিকাসমা।

মুখং হি বত্ত লং চৈব অধরো বিম্ব সন্নিভৌ।।

তথা সমপূৰ্য নাসা ভবেদ বৈ সুখ ভাগিনী ।

যদি কোনও নারীর চক্ষুপল্লবের উপরে গৌরবর্ণ (সাদা) রেখা দেখা যায় তবে সে নারী দুঃখভাগিনী হয়ে থাকে, এতে কোনও সংশয় নেই।

গৌরবর্ণা চ যা রেখা যদি স্যাৎ নেত্রসংস্থিত।।

সা নারী দুঃখভাগিনী নাত্ৰ কাৰ্য্য বিচারণা।

যে নারীর দুটি চোখ নীল উৎপলের মত (অর্থাৎ নীল রঙের পদ্মের মত) বিস্তৃত, এবং তার দুটি প্রান্ত ক্রমশঃ সরু হয়ে গেছে, সে নারী যাবজ্জীবন সুখভােগ করে। পদ্মের মত চোখ অর্থাৎ টানা টানা চোখ যা খুললেও সম্পূর্ণ খােলে না—অনেকটা যাকে হরিণীনয়না বলে শাস্ত্রে বর্ণিত হয়েছে এরূপ চোখ |

এরুপ চোখ দুটি নাকের দু পাশের সঙ্গে সংলগ্ন হবে এবং টানা টানা হওয়ায় যেন আকর্ণ বিস্তৃত বলে মনে হবে।

এমনি সুন্দর চোখের অধিকারিণী নারী প্রচুর বিদ্যা অর্জন করে এবং পরম সুখে দিন কাটায়।

নীলােৎপলনিভঃ চক্ষুনসালগ্নং সলকম ।

পৃথুলে বাজেনিভে তাং বিদ্যা সুখভাগিনীম।

যে নারীর চুল গুলি আপনা থেকেই তেল-ডেজানাে চুলের যত মসৃণ, চিক্কণ ও কোমল থাকে – অর্থাৎ তেলে না ভেজালেও তৈলাক্তের মত দেখায় এবং সেই চুলগুলি নীলবর্ণ ও কুঞ্চিত থাকে, সে রমণী চিরসুখ-ভাগিনী হয়- সেই নারীকে সৰ নারীদের মধ্যে অগ্রগণ্যা বলা হয়ে থাকে। শাস্ত্রে তাকে রমণীশ্রেষ্ঠা বলে বর্ণনা করা হয়েছে।

স্নিগ্ধা নীলা মূদৰে যুদ্ধ জোঃ কুঞ্চিতাস্তথা।।

ধ্রুবং সা রমণীশ্রেষ্ঠ চিরং সুখস্য ভাগিনী।

হাটবার সময় যে নারীর দুটি পায়ের কনিষ্ঠা আর অনামিকা এই দুটি আঙুল ভূমি স্পর্শ করে না, সেই নারীকে কুলটা কলে জানা উচিত। সে নারী সারা জীবন ধরে নানা দুঃখ ভােগ করে থাকে।

কনিষ্ঠিকা গতো যস্যাঃ অথবানামিকাঙ্গ লিঃ।।

ন শতি ধরাং সৈব কুলটা দুঃ ভাগিনী।।

যদি কোনও নারীর দুটি চোখ কেকরা অর্থাৎ ট্যারা হয়, সে নারীর স্বভাৰ প্রচণ্ড অর্থাৎ তার কণ্ঠস্বর ব্যবহার ইত্যাদি তীব্র হয়ে থাকে। উগ্রভাবে সে যেখানে সেখানে ঘুরে বেড়ায় এবং নানা লােকের নিন্দা ভাগিনী হয়।।

যদি কোনও নারীর গলা ছোট এবং স্থুল হয় তবে সে আজীবন মনুঃখ ভােগ করে জনসমাজে ঘুরে বেড়ায়। গলা স্থুল অর্থে ছোট এবং মােটা ঘার বিশিষ্ট গলা বােঝান হয়েছে। শাস্ত্রোক্ত ভাষায় :

বৃহৎ রতিশাস্ত্র নয়নে কেকরে যস্যাঃ সা প্রচণ্ডস্বভাবিক।

স্থূলগণ্ডাঃ চ যা নারী সা হি জীবনদুঃখিনী। 

যদি নারী হাসলে তার গালে কৃপ পড়ে অর্থাৎ টোল পড়ে তবে এটি অত্যন্ত কুলক্ষণ বলে জানতে হবে। টোল ৰা কুপ বলতে এখানে সামান্য খাঁজ নয়, গােলাকার গভীর গর্তকে কূপ বলা হয়ে থাকে।

এই শ্রেণীর নারীরা নিশ্চয়ই ব্যাভিচারিণী হয়। তারা যত দিন বেঁচে থাকে মহাকষ্টে দিন কাটায়।।

হাসতে গণ্ডয়ােশ্চৈব সীতে কূপে ভবিষ্যত।

কুলটা সা ভবেন্নারী আজন্ম-দুঃখ-ভাগিনী।

নারীর হাতে অর্থাৎ করতলে কনিষ্ঠার নিচে থেকে তর্জনীর দিকে যে রেখাটি যায় অর্থাৎ যাকে রতিশাস্ত্র অনুযায়ী আয়ুরেখা বা জ্যোতিষ শাস্ত্রে হৃদয়রেখা বলে। এই রেখা যদি কোন জায়গায় কাটা না থাকে অর্থাৎ ছিন্ন হয়ে না যায় তাহলে সে ঐশ্বর্য্যে পূর্ণ হয়ে পরম সুখে দিন কাটায়। জীবনে সে নারীকে কখনও দুঃখ ভােগ করতে হয় না। এটাই শাস্ত্রের কথা।

কনিষ্ঠাত্তৰ্জ নীং যাবৎ রেখা ভবতি চাক্ষতা।

সা সুখী সুখভাগিনী সর্বৈশ্বৰ্য্য-সমন্বিত৷৷৷

এবারে মহাদেব তার রতিশাস্ত্রে নারীর এমন একটি লক্ষণ বর্ণনা করলেন যা অত্যন্ত খারাপ লক্ষণ। এরূপ লক্ষণ যদিও খুব বেশি দেখা যায় না, তবু যে সব নারীর দেহে এই চিহ্ন দেখা যায় তাদের দুঃখকষ্টের শেষ থাকে না।

যদি কোন নারীর একটি কান ছােট অন্যটি বড় হয় অথাৎ দুটি কান সমান হয়ে ছােট বড় হয় আর তার স্তনদ্বয়ে লােম জন্মে, সেই নারী যতদিন বেঁচে থাকে, ততদিন তাকে মহাক্লেশে দিন কাটাতে হয়। চিরদিন তাকে চোখের জলে ভাসতে হয়।

বিষমৌ শ্রবণােস্যাঃ স্তনো রােমসমন্বিতে।

জীবন্তী জীবনং দেবি তস্যাঃ ক্লেশায় কেবলম।

যে নারীর করতলে মীনরেখা বা মাছের আকৃতির রেখা থাকে সুভাগা, স্বস্তিকচিহ্ন থাকলে কুলের যশ বৃদ্ধিকারী সন্তানের জননী হয়। যার হাতে পদ্মচিহ্ন থাকে সেই নারী রাজমহিষী হয়। তার গর্ভে যে ছেলে হয় সেও বিখ্যাত হয় এবং রাজপদ প্রাপ্ত হয়ে থাকে।

যে নারীর হাতে প্রকার বা তােরণের চিহ্ন থাকে সে যদি খুব গরীবও হয় এমন কি দাসকুলে জন্ম নিলেও সে পরম সৌভাগ্য লাভ করবে। রাজরাণীর মত ধনীর ঘরে তার বিবাহ হবে এবং সে রাজরাণী পর্যন্ত হতে পারে।।

মৎস্যেন সুভগা নারী স্বস্তিকেন চ সুপ্রজা।

পদ্মেন ভূপতেঃ পত্নী জনয়েৎ ভূপতিংসুতং ।

প্রাকারতােরণং রেখা যস্যাঃ পাণিতলে ভবেৎ।

অপি দাসকুলে জাতা: রাত্বিমধিগচ্ছতি ॥

যে নারীর হাতে ত্রিশূল, খড়গ, শক্তি বা দুন্দুভির রেখা থাকে সেই নারী পৃথিবীর মধ্যে কীর্তিশালিনী হয়। নারীর হাতে অঙ্কুশকুল মাছের চিহ্ন থাকলে সেই নারীর পতি দীর্ঘদিন জীবিত থাকে। সে নিজেও বহু সন্তানের জননী হয়ে সুখে দিন কাটায়।

ত্রিশূলাসি গদাশক্তি দুভ্যাকৃতিরেখয়া।।

নিতম্বিনী কীর্তিমতী সা নারী পৃথিবীতলে৷

অঙ্কুশং কুণ্ডলং যানং যস্যা পাণিতলে ভবেৎ।

দীর্ঘায়ুষং পতিং প্রাপ্য পুত্রবৃদ্ধি ভবেৎ ধ্রুবং ৷৷

যে নারীর হাতে বজ্র আর প্রাসাদের রেখা থাকে সে নারী তীর্থকর পুত্র পায় অর্থাৎ তার পুত্র তাকে বহু তীর্থ ভ্রমণ করায়।

যে নারীর পায়ের নীচে বা চরণতলে লম্ব বিস্কৃত রেখা থাকে সে রাজার স্ত্রী হয়ে থাকে। যে নারীর পায়ের গড়ন স্নেহযুক্ত অর্থাৎ  চাকচিক্য শালী, মনোহর, উন্নত ও তাম্রবর্ন নখযুক্ত হয় আর দুটি পায়ের তলে মীন, অঙ্কুশ, রক্ত, প্রভৃতি চিহ্ন বিদ্যমান থাকে, সেই নারী কল্যাণকারিণী হয়। সে পরিবারের ও সকলের সুখ বৃদ্ধি করে এবং নিজেও সুখী হয়।

হস্যঃ পদতলে রেখা সা ভবেৎ ক্ষিতিপাঙ্গনা।

তামনখো মিন্নতো নাৰ্য্য চরণেী শুভে।।

মৎস্য অধুঃ শব্দচিহ্নেী চক্রলাঙ্গল লক্ষিতে।

যে নারীর অঙ্গুলি খুব দীর্ঘ হয় সে কুলটা হয়ে থাকে। যে নারীর পায়ের আঙ্গুল গুলি রুশ বা সরু সরু,সে নারী অত্যন্ত ধনহীনা বা গরীব হয়ে থাকে। যে নারীর পায়ের আঙ্গুলগুলি ছোট ছোট সে বেশিদিন জীবিত থাকে না। তাকে অল্পদিনের মধ্যে ইহলীলা শেষ করতে হয়। আর যে নারীর পায়ের আঙ্গুলগুলি কুটিল বা আকা বাকা ও মােটা গাটযুক, সে ভগ্ন অবস্থায় সারা জীবন অতিবাহিত করে। শাস্ত্রের ভাষায়-~~~

দীর্ঘাঙ্গুলিভিঃ কুলটা কৃশাভিরতিনিধনা।

হ্রস্বায়ুষ্যা চ হ্রস্বাভি গ্লাভিভুগ্নবর্তিনী।

যে নারীর নিতম্ব বেশ উন্নত ও মৃগীর মত চতুরস্র সেই নারী কল্যাণকারিণী হয়ে থাকে।যে নারীর নিতম্ব উন্নত, মাংসল ও বিস্তৃত হয় সেই নারী পরম সুখে কালাতিপাত করে। যে নারীর নিতম্ব সরু এবং মাংসল নয় সে দুঃখে দিন কাটায় সন্দেহ নেই।

সমুন্নতো নিত পুশ তুরনো মজশা ।

নিতবিখো নাতীণা উতে। মাংস ধু:

মহাজোগায় লাগেজ তাহেশখায়।

যে নারীর  নাভি বেশ প্রশস্ত  গভীর ও দক্ষিনাবর্তবিশিষ্ট  অর্থাৎ ডান দিকে পাক দিয়েছে সে কল্যাণকারিনী ও শুভফলদায়িনী  হয়ে থাকে। যে নারীর পেট অত্যন্ত বৃহৎ সে নিঃসন্তান ও দুর্ভাগিনী হয়। যে নারীর জঠর লম্বিত অর্থাৎ লম্বা হয়ে নিছে আসে, অল্প দিনের মধ্যে তার শশুর ও দেবরের প্রান বিনাশ হয়ে থাকে।

তিনি প্রশস্ত জঙিণাবকি ।

শিলাসী নারী নিরল তাপ।।

কাজ করা শুৰি শ্বশুরালি দেবর। |

যে নারীর পেট কুন্তাকৃতি  অর্থাৎ পেট কুন্ত এর মত সে দরিদ্র হয়। যে নারীর উদর কুমড়োর মত সে অসৎ বংশীয় হয়।

 

যে নারীর অঙ্গ মৃদু নরম দেহের চর্ম,মুখ কোমল মনােহর, চক্ষু মৃগচক্ষুর মত অর্থাৎ হরিপনয়না, জাদু, পেট মৃগের জানু ও পেটের মত সেই নারী যদি গরীবও হয়, এমন কি দাসীর গর্ভেও যদি তার জন্ম হয় তবু সে ধনী হয়—সে রাজার পত্নী অর্থাৎ রাজমহিষী পর্যন্ত হতে পারে।

মুগনেত্রা মৃঙ্গী চ মৃগজানু মৃগােদরী।

দানীজাতা চ সা কন্যা রাজানং পতিমাপ্লয়াৎ।।।

যে নারীর দুটি বাহু রেখাবিশিষ্ট অর্থাৎ বহু শিরাযুক্ত, যে নারীর মুখে অনেক তিল থাকে, অধর ও ওষ্ঠ সরল অর্থাৎ দুটি ঠোঁটই বাকা না হয়ে সােজা খাের মত লম্বা, সে নারীর পতির মৃত্যু হয়—অর্থাৎ সে বিধবা হয়।

যস্য। রেখাথিতে বাহু মুখে চ তিলকং ধ্রুবং।

সরলে অধরেষ্টো চ ক্ষিপ্রং বিধবালক্ষণম্।।

যে নারীর গ্রীবাদেশে অর্থাৎ গলায় তিনটি রেখা দেখা যায়, সে চির সুখ ভোগ করে। এই লক্ষণটি খুবই ভাল সন্দেহ নাই। যে নারীর গ্রীবার তিনটি রেখার সঙ্গে পেটেও ঠিক তিনটি রেখা অর্থাৎ তিনটি বলী দেখা যায়, তার সুখের সীমা থাকে না। শুধু নারী নয়, পুরুষের পক্ষেও এই রেখা খুব শুভ। গলা ও পেটে তিনটি রেখা থাকলে সে পুরুষ রাজপদ পায়। পুরুষের ললাটে তিনটি রেখা থাকলে তা খুব শুভ। সে রাজ- মনুগ্রহ লাভ করে।

যস্যাস্ট্রিরেখা গ্রীবায়াং কুক্ষিরেখাস্তথৈব চ।।

সুখস্য ভাগিনী স্যাচ্চ ভূপতিস্যাল্ললাটকে।

যে নারী গৌরাঙ্গ। অর্থাৎ টকটকে ফর্সা রঙ যার বা কৃষ্ণবর্ণ বা উজ্জ্বল শ্যামবর্ণ। যার অঙ্গ, দাত বদন, স্তন ও মস্তক স্নিগ্ধ সে নারী চিরদিন সুখ ভােগ করে থাকে।

যার মুখ চন্ধের মত মুনােহর, শরীরকান্তি তরুণ অরুজের ফর্সা চোখ বিস্তৃত অর্থাৎ আয়ত ও লােহিত আভাযুক্ত থাকে।তরুণ অরুণের মত টকটকে লালচে তিত আভাযুক্ত থাকে, তাকে বিবাহ করলে তার স্বামীর কল্যাণ লাভ হয়ে থাকে।

গৌরাঙ্গী বা তথা কৃষ্ণা স্নিগ্ধং অঙ্গং মুখং তথা।

দস্তাঃ স্তনং শিরাে যস্যা: সা কন্যা সুখমেধতে ।।

চন্দ্রমুখী চ যা কন্যা বালসূৰ্যসমপ্রভা।

বিশালনেত্রা রক্তাক্ষী তাং কন্যাং বরয়েৎ বুধঃ ।।

যে নারীর পৃষ্ঠ ও পাশের হাড়গুলি অন্তর্নিমগ্ন ও পৃষ্ঠ মাংসল অর্থাৎ সমান্ত। হাড়গুলি মাংসে ঢাকা থাকে, সে নারী কল্যাণদায়িনী হয়ে থাকে যে নারীর পিঠ লােমে পরিপূর্ণ সেই ঐ পতিহীন হয়ে থাকে সন্দেহ নেই। আর যে নারীর পৃষ্ঠদেশ ভগ্ন অর্থাৎ ভাঙ্গা ভাঙ্গা, হাড়গুলি উচু উচু হয়ে ঠেলে উঠেছে ও তাতে অনেক শিরা দেখা যায়, সেই নারী দুঃখ ভােগ করে থাকে।

অন্তর্নিমগ্নরংশাস্থিঃ পৃষ্ঠ স্যাৎ মাংসল শুভা।।

পৃষ্ঠেন রােমযুক্তেন বৈধব্যং লভতে ধ্রুবম্।।

ভূগ্লেন বিনতেনাপি সশিরেণাপি দুঃখিত।

যে নারীর স্তনযুগল মূলে স্থুল ও ক্রমশ অগ্রভাগে কৃশ ও সূক্ষ্ম এবং লম্বাটে আকারের, তারা বাল্য অবস্থায় সুখভােগ করে, কিন্তু বৃদ্ধ অবস্থায় দুঃখ ভোগ করে থাকে। যে নারীর দক্ষিণ (ডান) স্তন উচ্চ সেই নারী পুত্রবতী ও সকলের শ্রেষ্ঠ হয়, আর যার বাম স্তন উন্নত সেই নারীর একটি কন্যা ভাগ্যশালিনী হয়।

হলে মূলে ক্ৰম কৃশাবগ্রে তীক্ষ্ণী পয়ােধরো।

সুখদৌ বাল্যকালে তু পশ্চাদত দুঃখদে।

দক্ষিণােন্নবক্ষা পত্রিী বামে তবু চা কন্যা সৌভাগবতাম ।