দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায় কি এবং কিভাবে দাঁতের ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় আজ আমরা জানার চেষ্টা করব। বর্তমান যুগে দাঁতের ব্যাথার কোন বয়সের সিমানা নেই। যে কোন বয়সেই দাঁতের ব্যাথা হতে পারে। ৫ বছরের শিশুরও হতে পারে আবার ৬০ বছর বৃদ্ব বয়সেও দাঁতের ব্যাথা হতে পারে। তাই দাতের ব্যাথা থেকে মুক্তি পেতে আমাদের এ আয়োজন।
তিল এর তৈল অথবা নারিকেল তেল মালিশ করাঃ
দাঁতের সংবেদনশীলতার জন্য তিল এবং নারকেল বেশ কার্যকারী। আপনি যদি তিল এর তৈল বা নারকেল তেল দাঁতে মালিশ করে দিতে পারেন তবে তা দাঁতের সংবেদনশীলতা কমিয়ে আনবে। এটা যুগ যুগ ধরে ভারতে আয়ুর্বেদিক হিসাবে প্রচলিত হয়ে আসছে। এই পদ্বতিটা হলো আপনার মুখের চারপাশে কয়েক মিনিট ধরে তেল ঘষতে হবে। এর পর আপনার মুখের থুথু ফেলতে হবে। ২০০৯ সালের একটা গবেষনায় দেখা গেছে যে, তিলের তেল মাড়িতে ঘষলে এটা মাড়িরোগের উপসর্গ এর বিরুদ্বে সক্রিয় ভুমিকা পালন করে। ডেন্টিসরা এই রুগের নাম দিয়েছেন জিনজিভাইটিস। ইহা পাইলট গবেষনা দ্বারা সমর্থিত যা একটি বিশ্বস্ত উৎস।
তারা আরও বলে যে নারকেল তেল টানা প্লেক গঠন হ্রাস করতে পারে। গবেষনায় আরও বলা হয় যে, এটি জিনজিভাইটিসের চিহ্নিতকারীকে হ্রাস করে। ফলস্বরূপ দাঁতের সংবেদনশীলতা হ্রাস পায়।
গবেষনার বিশ্বস্ত সুত্র পরামর্শ দেয় যে মাড়ি মন্দা লোকদের মাড়ি প্রদাহ হয়। যারা দাতের সংবেদনশীলতায় ভুগেন তাদের মধ্যে এটি একটি সাধারন সমস্যা।
পেয়ারা পাতাঃ
দাতের ব্যাথা কমানোর জন্য পেয়ারা পাতা খুবই উপকারী। আপনি যদি পেয়ারা পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন তবে দাঁতের ব্যাথা এবং মাড়ির প্রদাহ থেকে বাঁচতে পারেন। পেয়ারা পাতার নির্যাস থেকে তৈরি একটি টপিক্যাল জেল দাতের ব্যাথার জন্য কার্যকর। “পেয়ারার ফ্ল্যাভোনয়েড সমৃদ্ধ নির্যাস ব্যথা উপশমকারী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরির কারণ। এটি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যের কারণেও হয়।’ এই কারণে, এগুলো দাঁতের ব্যথা প্রতিরোধের সম্ভাবনাময় ভুমিকা পালন করে।
লবঙ্গ জেলঃ
দাতের ব্যথা প্রতিকারের জন্য লবঙ্গ জেল দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে। এক গবেষনায় দেখা গেছে যে, এগুলোর শুধু ঐতিহ্যই নয়, উপকারও আছে। একটি 2006 সমীক্ষার বিশ্বস্ত উত্স এই জেলটিকে বেনজোকেনের সাথে তুলনা করে। এটি হলো সেই ধরনের জেল যাহা একজন ডেন্টিস্ট রোগীর মাড়িকে অসাড় করতে ব্যবহার করেন। জেলটি ব্যবহার করা হয় সূচ ডুকানোর আগে যাতে করে দাতের মাড়ি আবস হয়ে যায়। সুতরাং বলা যেতে পারে যে, একটি লবঙ্গ জেল সুচের ব্যথা উপশম করতে কার্যকর যা বেনজোকেন জেলের মতোই। তাই মাড়িতে লবঙ্গ জেল ব্যবহার করা দাঁতের ব্যথার জন্য কার্যকর।
রসুনঃ
ঘরোয়া চিকিৎসার জন্য রসুনের বেরসুনশ সুনাম রয়েছে। আপনি এক টুকরো রসুন চিবিয়ে নিতে পারেন। কারন রসুন চিবানোর ফলে ইহা এক প্রকার অ্যালিসিন যৌগিক তৈরি করে। অ্যালিসিনে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যা দাঁতের ক্ষয় সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে। স্ট্রেপ্টোকক্কাস মিউটান এর উদাহরণ। ইহা দাঁতের চারপাশে এস মিউট্যান্ট তৈরি করে দাঁতের ক্ষয় বাড়ায়। দাতের সংবেদনশীলতা এর কারনে খারাপ হয়। অ্যালিসিন এই ধরনের ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে। ফলে দাঁতের সংবেদনশীলতা কমে যেতে পারে।